হাসনাইন মেহেদী: ২০১৬। এ বছরটিতে বিশ্ব হারিয়েছে বেশ কিছু ইতিহাস সৃষ্টিকারী মানুষকে। তারা সাহসিকতায়, স্বমহিমায় উজ্জ্বল। বিশ্ববাসীর কাছে চিরদিন তাদের অনেকে হয়ে থাকবেন আদর্শ। এমন ব্যক্তির মধ্যে রয়েছেন কিউবার বিপ্লবী নেতা ফিদেল ক্যাস্ত্রো, ভিয়েতনাম যুদ্ধবিরোধী সোচ্চার অবস্থানের জন্য সর্বজন শ্রদ্ধেয় বক্সিং চ্যাম্পিয়ন মোহাম্মদ আলী, যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে অন্যতম জনপ্রিয় ফার্স্টলেডি ন্যান্সি রিগ্যান, থাইল্যান্ডের রাজা ভূমিবল আদুল্যাদেজ প্রমুখ।
ফিদেল ক্যাস্ত্রো: কিউবার অবিসংবাদিত নেতা ও দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট ফিদেল ক্যাস্ত্রো এ বছর ২৫শে নভেম্বর ৯০ বছর বয়সে মারা যান। পশ্চিমা শক্তিগুলোকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে তিনি শক্তহাতে নিজ দেশকে শাসন করেছেন প্রায় অর্ধশতক। কিউবার কমিউনিস্ট বিপ্লবের এই স্বপ্নপুরুষের জন্ম ১৯২৬ সালে, ওরিয়েন্তে প্রদেশে। ১৯৫৩ সালে কিউবায় বাতিস্তা শাসনের বিরুদ্ধে এক ব্যর্থ গণঅভ্যুত্থানের পর তাকে জেলে পাঠানো হয়। দু’বছর পর এক চুক্তির অধীনে মুক্তি পান। ১৯৫৬ সালে আরেক বিপ্লবী চে গুয়েভারার সঙ্গে একসঙ্গে সরকারের বিরুদ্ধে শুরু করেন গেরিলা যুদ্ধ। ১৯৫৯ সালে পরাজিত হয় বাতিস্তা সরকার। এরপর দেশটির প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন ফিদেল ক্যাস্ত্রো। ১৯৬১ সালে নিজের বিপ্লবকে সমাজতন্ত্র ঘোষণা দেন তিনি। ১৯৭৬ সালে কিউবার জাতীয় পরিষদ তাকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করে। স্বাস্থ্যগত সমস্যার কারণে ২০০৮ সালে প্রেসিডেন্ট পদ থেকে সরে দাঁড়ান। ক্ষমতা তুলে দেন ছোট ভাই রাউল ক্যাস্ত্রোর হাতে। এরপর থেকে তাকে খুব একটা জনসমক্ষে দেখা যায়নি। সর্বশেষ ভাষণ দিয়েছিলেন এ বছর এপ্রিলে কমিউনিস্ট পার্টির কংগ্রেসে। হয়তো বুঝতে পেরেছিলেন এটাই হবে কিউবাবাসীর সাথে তার শেষ কথা। সেজন্যই বোধ হয় বলেছিলেন, ‘শিগগিরই আমার বয়স হবে ৯০। তাড়াতাড়ি আমিও বাকি সবার মতো হয়ে যাবো। সবারই পালা আসে।’ আবেগাপ্লুত সমর্থকদের উদ্দেশে কাঁপাকাঁপা কণ্ঠে কথা বলেছিলেন, ‘হয়তো এ ঘরে এটাই হবে শেষবারের মতো কথা বলা। তবে, কিউবান কমিউনিস্টদের ধ্যানধারণা বিশ্বের বুকে প্রমাণ হিসেবে থেকে যাবে, সম্মান নিয়ে যদি কঠোর পরিশ্রম করো তাহলে মানুষের জন্য প্রয়োজনীয় বস্তুগত ও সাংস্কৃতিগত সব কিছুই তৈরি করতে পারবে।’
মোহাম্মদ আলি: আর কোন ক্রীড়াব্যক্তিত্ব বিশ্বজুড়ে এতটা প্রভাব রাখতে পারেননি, যেমনটা পেরেছেন মোহাম্মদ আলি। বক্সিং জগতের সব থেকে প্রসিদ্ধ এই তারকা ভিয়েতনাম যুদ্ধবিরোধী সোচ্চার অবস্থানের জন্য সর্বজন শ্রদ্ধেয়।
মার্কিন অঙ্গরাজ্য কেন্টাকির লুইসভিলে ১৯৪২ সালে জন্ম মোহাম্মদ আলির। জন্মগতভাবে তার নাম ছিল ক্যাসিয়াস ক্লে। ১৯৬৪ সালে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার পর মোহাম্মদ আলি নামে পরিচিত হন। ১৯৬০ সালে অলিম্পিক স্বর্ণপদক এবং ১৯৬৪ তে ওয়ার্ল্ড হেভিওয়েট বক্সিং চ্যাম্পিয়নশিপ জেতেন। ১৯৬৭ সালে সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে অস্বীকৃতি জানানোয় তার চ্যাম্পিয়নশিপ ও বক্সিং লাইসেন্স বাতিল করা হয়। সত্তরের দশকে বক্সিংয়ে ফিরে আরও দু’বার হেভিওয়েট চ্যাম্পিয়ন হন তিনি। বক্সিং রিংয়ে ক্ষিপ্রতার জন্য সুপরিচিত ছিলেন। সমসাময়িক বক্সার ও অপর দুই হেভিওয়েট চ্যাম্পিয়ন জো ফ্রেজার ও জর্জ ফোরম্যানের সঙ্গে বক্সিং ইতিহাসের বিখ্যাত দুই লড়াইয়ে জয়ী হন। ১৯৮৪ সালে পারকিনসন্স রোগে আক্রান্ত হন। অবসরে যাওয়ার পর বেশিরভাগ সময় সমাজসেবায় কাটিয়েছেন তিনি। দুরারোগ্য পারকিনসন্সের সঙ্গে লড়াই করার পাশাপাশি দুস্থদের সহায়তায় ছুটে বেড়িয়েছেন মেক্সিকো থেকে মরক্কো পর্যন্ত বিশ্বের অনেকগুলো দেশে। উন্নয়নশীল দেশগুলোতে তার সেবামূলক কর্মকাণ্ডের জন্য জাতিসংঘের শান্তির দূত নির্বাচিত হন ১৯৯৮ সালে। ২০০৫ সালে মোহাম্মদ আলিকে প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেল অব ফ্রিডম সম্মানে ভূষিত করে যুক্তরাষ্ট্র সরকার। এ বছর ৩রা জুন আরিজোনা অঙ্গরাজ্যের ফিনিক্সে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন তিনি। তার মৃত্যুতে বিশ্বজুড়ে শোকবার্তার জোয়ার আসতে থাকে; শুধু বিশ্ব নেতৃবৃন্দের তরফেই নয় বরং আপামর জনসাধারণের কাছ থেকে যাদের জীবন কোনো না কোনোভাবে ছুঁয়ে গেছেন তিনি। মৃত্যুর অনেক বছর আগেই নিজের মৃত্যু-পরবর্তী স্মরণসভার পরিকল্পনা করে গিয়েছিলেন মোহাম্মদ আলি। সকল ধর্মের প্রতিনিধির উপস্থিতিতে একটি আয়োজন চেয়েছিলেন তিনি। তার ইচ্ছা অনুযায়ীই অনুষ্ঠানটি সম্পন্ন করা হয়। তার শবাধারবাহীদের মধ্যে ছিলেন অভিনেতা উইল স্মিথ এবং সাবেক দুই বক্সিং হেভিওয়েট চ্যাম্পিয়ন মাইক টাইসন ও লেনক্স লুইস। নিজ শহর লুইসভিলে কেভ হিল ন্যাশনাল সেমেটারিতে দাফন করা হয় তাকে। শুধু অসামান্য ক্রীড়ানৈপুণ্য নয়, অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার কণ্ঠের জন্য বিশ্বজুড়ে সমাদৃত এই কিংবদন্তি।
ভুমিবল আদুলইয়াদেজ: থাইল্যান্ডবাসীকে শোকের সাগরে ভাসিয়ে এ বছরের ১৩ই অক্টোবর মৃত্যুবরণ করেন দেশটির রাজা ভুমিবল আদুলইয়াদেজ (৮৮)। তিনি ছিলেন বিশ্বে সবথেকে দীর্ঘসময় সিংহাসনে অধিষ্ঠিত রাজা। ৭০ বছর শাসন করেছেন রাজা ভুমিবল। থাই সমাজের বিভক্তি, বৈষম্য আর উত্তাল রাজনৈতিক নানা পরিস্থিতির মধ্যেও ধনী-গরিব, ছেলে-বুড়ো, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে দেশের মানুষ ভালোবাসতো রাজা ভুমিবলকে। দেশকে স্থিতিশীল রাখতে একাধিকবার অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। থাইল্যান্ডবাসীর জন্য তিনি ছিলেন ভরসার প্রতীক। টাইম ম্যাগাজিন লিখেছে থাইল্যান্ডের রাজা ভুমিবল আদুলইয়াদেজ ছিলেন সবথেকে সেরা মানের একজন রাজা।
রাজা ভুমিবলের জন্ম ১৯২৭ সালের ৫ই ডিসেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যের কেমব্রিজে। ১৯৪৬ সালে তিনি থাইল্যান্ডের রাজসিংহাসনে অধিষ্ঠিত হন। তার শাসনকালে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় ২০ জনেরও বেশি প্রধানমন্ত্রীকে আসতে যেতে দেখেছেন তিনি। শাসনের শেষের দিকে, স্বাস্থ্যের অবনতি হলে জনসমক্ষে আসা কমে যায় রাজা ভুমিবলের। ১৩ই অক্টোবর বিকালে থাই রাজপ্রাসাদ রাজার মৃত্যুর খবর ঘোষণা দেয়। ব্যাংককের গ্র্যান্ড প্যালেসে রেশম, স্বর্ণ আর হীরা আবৃত সোনালি একটি শবাধারে রাখা হয়েছে প্রয়াত রাজার মরদেহ। ঘোষণা দেয়া হয়েছে এক বছরের শোক।
জর্জ মাইকেল: তার আসল নাম জর্জিওস কাইরিয়াকোস প্যানাইওতু। কিন্তু সবাই চেনেন জর্জ মাইকেল নামে। জন্ম ১৯৬৩ সালের ২৫শে জুন। ইংরেজ এই গায়ক ও গীতিকার আশি ও নব্বইয়ের দশকে ছিলেন তুমুল জনপ্রিয়। লাস্ট ক্রিসমাস, ওয়েক মি আপ, বিফোর ইউ গো-গো সহ সাড়া জাগানো সব গান তার। ফেইথ আর লিসেন উইদাউট প্রিজুডিস ছিল তার সবচেয়ে জনপ্রিয় দু’টি অ্যালবামের অন্যতম। গায়কীর বাইরেও রাজনীতি নিয়ে তিনি ছিলেন সচেতন। আশির দশকে জনপ্রিয় কনজারভেটিভ প্রধানমন্ত্রী মার্গারেট থ্যাচারের সময় তিনি ভোট দিয়েছেন লেবার পার্টিকে। ২০০৩ সালে তার দেশ বৃটেন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মিলে আগ্রাসন চালায় ইরাকে। এ নিয়েও সরব ছিলেন এ গায়ক। ৫৩ বছর বয়সে এ বছর ২৫শে ডিসেম্বর, ক্রিসমাস বা বড়দিনেই তিনি মারা গেলেন।
ডেভিড বাওয়ি: রক মিউজিকের কিংবদন্তি বৃটিশ তারকা ডেভিড বাওয়ি এ বছরের ১০ই জানুয়ারি ৬৯ বছর বয়সে ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। একাধারে একজন গায়ক, গীতিকার ও অভিনেতা ছিলেন বাওয়ি। বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে সংগীতের ধাঁচ পরিবর্তনের জন্য সুপরিচিত তিনি। ১৯৯৬ সালে তাকে রক অ্যান্ড রোল হল অফ ফেমে অভিষিক্ত করা হয়।
১৯৪৭ সালের ৮ই জানুয়ারি দক্ষিণ লন্ডনের ব্রিক্সটনে জন্ম ডেভিড বাওয়ির। তার প্রথম হিট গান ছিল ‘স্পেস অডিসি’। ১৯৬৯ সালে গানটি বাজারে আসে। জিগি স্টারডাস্ট অ্যালবাম দিয়ে বাওয়ি জনপ্রিয় একটি কল্পবিজ্ঞান চরিত্র সৃষ্টি করেন। পরে ১৯৭৫ সালে কার্লোস আলোমার ও জন লেননের সঙ্গে যৌথভাবে লেখেন ‘ফেম’ গানটি যা তার প্রথম ‘আমেরিকান নাম্বার ওয়ান’ গান। ১৯৭৬ সালে কল্পবিজ্ঞান ছবি ‘দ্য ম্যান হু ফেল টু আর্থ’-এ রুপালি পর্দায় প্রতিভার স্বাক্ষর রাখেন।
হার্পার লি: পুলিৎজার পুরস্কারজয়ী বেস্টসেলার ‘টু কিল এ মকিংবার্ড’ (১৯৬০)-এর জন্য সুপরিচিত হার্পার লি। খ্যাতনামা এই ঔপন্যাসিকের জন্ম ১৯২৬ সালের ২৮শে এপ্রিল, মার্কিন অঙ্গরাজ্য আলাবামার মনরোভিলে। ১৯৫৯ সালে তিনি তার পুলিৎজার পুরস্কারজয়ী উপন্যাস ‘টু কিল এ মকিংবার্ড’-এর পাণ্ডুলিপি লেখা শেষ করেন। এর পরপরই তিনি তার বন্ধু ও লেখক ট্রুম্যান ক্যাপোটকে সহায়তা করেন দ্য নিউ ইয়র্কারের জন্য একটি নিবন্ধ লিখতে। পরে ওই নিবন্ধ রূপান্তরিত হয় ক্যাপোটের অনবদ্য নন-ফিকশন ‘ইন কোল্ড ব্লাড’-এ। ২০১৫ সালের জুলাই মাসে হার্পার লি তার ২য় উপন্যাস ‘গো সেট এ ওয়াচম্যান’ প্রকাশ করেন। এটা মূলত ‘টু কিল এ মকিংবার্ডের’ আগে লেখা। ২য় উপন্যাসটিতে প্রথমটির চরিত্রগুলোর জীবনের শেষদিনগুলোর ঘটনাপ্রবাহ তুলে ধরা হয়। এ বছরের ১৯শে ফেব্রুয়ারি ৮৯ বছর বয়সে মারা যান হার্পার লি।
ন্যান্সি রিগ্যান: যুক্তরাষ্ট্রের ৪০তম প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগ্যানের পত্নী ন্যান্সি রিগ্যান দেশটির ইতিহাসে অন্যতম জনপ্রিয় একজন ফার্স্টলেডি। সাবেক এই হলিউড অভিনেত্রী ‘জাস্ট সে নো’ শীর্ষক মাদক সচেতনতা প্রচারণার প্রতিষ্ঠাতা।
১৯২১ সালের ৬ই জুলাই নিউ ইয়র্কে জন্মগ্রহণ করেন ন্যান্সি রিগ্যান। ৪০ ও ৫০ দশকে হলিউডে অভিনয় করেছেন। ১৯৫২ সালে তৎকালীন অভিনেতা রোনাল্ড রিগ্যানের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন তিনি। হোয়াইট হাউজে প্রেসিডেন্ট রিগ্যানের গুরুত্বপূর্ণ একজন উপদেষ্টার ভূমিকা পালন করেন ফার্স্টলেডি ন্যান্সি। হোয়াইট হাউজে পদার্পণের আগে ক্যালিফোর্নিয়ার ফার্স্টলেডি ছিলেন তিনি। রোনাল্ড রিগ্যান আলজাইমার রোগে আক্রান্ত হওয়ার পর এর নিরাময় খুঁজে বের করতে জোরালো প্রচারণা চালান তিনি। এ বছর ৬ই মার্চ ৯৪ বছর বয়সে মারা যান ন্যান্সি রিগ্যান।
জাহা হাদিদ: অনবদ্য স্থাপত্যশৈলীর অদ্বিতীয় রূপকার ছিলেন জাহা হাদিদ। তার সময়ের সবথেকে সেরা নারী স্থাপত্যবিদ হিসেবে তিনি প্রতিষ্ঠিত। ইরাকি বংশোদ্ভূত বৃটিশ এই স্থাপত্যশিল্পী প্রিটজকার আর্কিটেকচার পুরস্কার জয়ী প্রথম এবং কনিষ্ঠতম নারী। এছাড়া, ২০১৫ সালে সম্মানজনক রিবা গোল্ড মেডেলজয়ী প্রথম নারী তিনি। ভবন ও স্থাপনা নির্মাণ শিল্পে তার নকশাগুলো দৃষ্টিনন্দন তো বটেই; একইসঙ্গে তা স্থাপত্যশিল্পের শৈল্পিকতাকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে।
১৯৫০ সালের ৩১শে অক্টোবর ইরাকের বাগদাদে জন্ম জাহা হাদিদের। তার পড়াশোনার বেশিরভাগ হয়েছে ইংল্যান্ড ও সুইজারল্যান্ডে। তার উল্লেখযোগ্য স্থাপত্যশিল্পের মধ্যে রয়েছে ভিট্রা ফায়ার স্টেশন, ব্রিজ প্যাভিলিয়ন, শ্যানেল মোবাইল আর্ট প্যাভিলিয়ন, রিভারসাইড মিউজিয়াম, লন্ডন অ্যাকুয়াটিক্স সেন্টার, এভেলিন গ্রেস অ্যাকাডেমি, গুয়ানঝাও অপেরা হাউজ, গ্যালাক্সি সোহো, ফায়েনো সায়েন্স সেন্টার, শেখ জায়েদ ব্রিজ, জকি ক্লাব ইনোভেশন টাওয়ার, স্যালেরনো ম্যারিটাইম টার্মিনাল ইত্যাদি। তার সময়ে বিশ্বের সবথেকে সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক প্রাপ্ত আর্কিটেক্ট ছিলেন জাহা হাদিদ। এ বছর ৩১শে মার্চ মিয়ামির একটি হাসপাতালে হার্ট অ্যাটাক করে মারা যান তিনি। ব্রঙ্কাইটিসে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।
প্রিন্স: আশির দশকের জনপ্রিয় মার্কিন গায়ক, গীতিকার, বহু-বাদ্যযন্ত্রী ও রেকর্ড প্রডিউসার প্রিন্স রজার্স নেলসন। মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের মিনিয়াপোলিসে ১৯৫৮ সালের ৭ই জুন তার জন্ম। উদ্ভাবনী এই সংগীতকার তার মঞ্চ উপস্থিতি, জমকালো পোশাক পরিচ্ছদ, মেকাপ আর নানা ধরনের ঢংয়ের জন্য সুপরিচিত ছিলেন। বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে প্রিন্স ৭টি গ্রামি অ্যাওয়ার্ড, একটি আমেরিকান মিউজিক অ্যাওয়ার্ড, একটি গোল্ডেন গ্লোব অ্যাওয়ার্ড এবং পারপেল রেইন ছবির জন্য একটি অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ড জিতেছেন। ২০০৪ সালে তাকে রক অ্যান্ড রোল হল অফ ফেমে অভিষিক্ত করা হয়। এ বছর ২১শে এপ্রিল মারা যান তিনি।
সূত্র : মানবজমিন